বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে অনলাইন কেনাকাটার চাহিদা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত এখন মোবাইলের এক ক্লিকেই মানুষ অর্ডার করছে নানান পণ্য। সেই সাথে বেড়েছে অনলাইন ব্যবসায়ীদের সংখ্যাও।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এই অনলাইন কেনাবেচার জগতে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যকার সম্পর্ক দিন দিন অবিশ্বাস, প্রতারণা আর ভুল বোঝাবুঝিতে জর্জরিত হচ্ছে। কোথাও বিক্রেতার প্রতারণা, কোথাও আবার ক্রেতার অপ্রয়োজনীয় তর্ক-বিতর্ক ও প্রতারক আচরণ — এই দুইয়ের মাঝে গড়ে উঠছে অবিশ্বাসের দেয়াল।
এই লেখায় আলোচনা করব, বর্তমানে অনলাইন ক্রেতা ও বিক্রেতার সম্পর্ক কেমন চলছে, কেমন হওয়া উচিত, কী গ্রহণযোগ্য আর কী বর্জনীয়, এবং এই সম্পর্ক উন্নয়নে উভয়ের দায়িত্ব ও করণীয়।
বাংলাদেশের অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, দিন দিন লাখো নতুন গ্রাহক যুক্ত হচ্ছে। একই সাথে ছোট-বড় হাজার হাজার পেজ, ওয়েবসাইট আর অ্যাপ-ভিত্তিক অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠেছে।
এখানে দুই ধরনের প্রবণতা দেখা যায় —
✅ আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলা বিক্রেতা।
✅ শুধু মুনাফার লোভে প্রতারণা করা কিছু অসাধু বিক্রেতা।
একইভাবে, ক্রেতার দিক থেকেও দেখা যায় —
✅ বেশিরভাগ ক্রেতা সৎ ও সদ্য নিয়ত।
✅ আবার কিছু ক্রেতা বিনা কারণে অর্ডার করে ক্যানসেল করে, অকারণে খারাপ রিভিউ দেয়, কিংবা পণ্য নিয়ে প্রতারণা করে।
এই অবস্থায় একে অপরের প্রতি অবিশ্বাস আর দূরত্ব দিন দিন বাড়ছে।
অনলাইন কেনাবেচায় সম্পর্ক হওয়া উচিত পারস্পরিক সম্মান, বিশ্বাস ও সততার ওপর ভিত্তি করে।
✔️ বিক্রেতা যেন সঠিক পণ্য, নির্ধারিত সময়ে, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্রেতাকে পৌঁছে দেয়।
✔️ ক্রেতা যেন যথাযথ তথ্য দিয়ে অর্ডার করে, সময়মতো পণ্য রিসিভ করে এবং কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে ভদ্রভাবে জানায়।
একটি সুস্থ অনলাইন ইকোসিস্টেম গড়তে হলে এই দুপক্ষের আচরণ-মনোভাবের পরিবর্তন খুব জরুরি।
👉 অনলাইন কেনাকাটায় স্পষ্ট ও সত্য তথ্য প্রদান।
👉 অর্ডার কনফার্মেশনের সময় সঠিক ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দেয়া।
👉 পণ্য বুঝে পাওয়ার আগে টাকা না নেওয়া (যদি কন্ডিশন থাকে)।
👉 ক্রেতার অভিযোগ দ্রুত সমাধান করা।
👉 বিক্রেতার সাথে ভদ্র ব্যবহার ও ধৈর্য ধরা।
👉 বিক্রেতার রিটার্ন/রিফান্ড পলিসি মেনে চলা।
👉 ক্রেতা-ভিত্তিক নিয়মতান্ত্রিক ফিডব্যাক দেয়া।
❌ মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য অর্ডার করা।
❌ পণ্য গ্রহণ করে টাকা না দেয়া।
❌ বিনা কারণে বিক্রেতার সম্মানহানিকর মন্তব্য।
❌ অর্ডার কনফার্ম করে অকারণে ক্যানসেল করা।
❌ প্রতারণামূলক প্রডাক্ট ডেলিভারি।
❌ সমস্যার সমাধান না করে ক্রেতাকে এড়িয়ে যাওয়া।
অনেক বড় বড় অনলাইন প্রতিষ্ঠানও অভিযোগের সম্মুখীন হচ্ছে। একদিকে কিছু অসাধু বিক্রেতা, আবার কিছু খামখেয়ালী ক্রেতার কারণেই গোটা ই-কমার্স সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত। Amar Deal-এর মতন সৎ ও দায়িত্ববান অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো চেষ্টা করছে এই খারাপ ট্রেন্ড থেকে বেরিয়ে আসতে।
✅ বিক্রেতাদের প্রশিক্ষণ দেয়া।
✅ ক্রেতাদের সচেতনতা বাড়ানো।
✅ শপিং নিয়ম-কানুন মেনে চলা।
✅ দ্রুত অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা।
✅ সরকারি পর্যায়ে ই-কমার্স নীতিমালা শক্ত করা।
বাংলাদেশের অনলাইন কেনাকাটার পরিবেশ উন্নত করতে হলে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই সচেতন হওয়া জরুরি। শুধু নিজের লাভ নয় — একজন ক্রেতা এবং বিক্রেতা দুজনেই মানবিকতা, সততা আর পেশাদারিত্বের পরিচয় দিলে অনলাইন মার্কেটিং সেক্টর আরও এগিয়ে যাবে।
এই সম্পর্কটা যদি ভালো হয় — তাহলে যেমন ব্যবসায়িক লাভ বাড়বে, তেমনি সাধারণ মানুষও অনলাইন কেনাকাটায় আস্থা পাবে।
চলুন, দায়িত্বশীল হই। সম্মানজনক ও আস্থাভিত্তিক অনলাইন কেনাবেচা করি।
“বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে নিরাপদ, সহজ এবং বিশ্বাসযোগ্য অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি হাজার হাজার উদ্যোক্তাকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার পথ তৈরি করা।”
🎯 সঠিক পণ্য, সঠিক দামে।
🎯 দ্রুত ডেলিভারি এবং টাকা ফেরতের গ্যারান্টি।
🎯 ৫-প্রজন্ম রেফারেল কমিশন সিস্টেম।
🎯 সকলের জন্য রিসেলার ও মার্চেন্ট হয়ে আয়ের সুযোগ।
🎯 ক্রেতা-বিক্রেতার জন্য আলাদা আলাদা সাপোর্ট টিম।
🎯 সেলস কমিশন বোনাস, রেফারেল কমিশন, অন্যের টার্গেট সেলিং প্রভৃতি
কমিশন ইনকাম মানে আপনার একটা প্যাসিভ ইনকামের সুযোগ।
আমরা Amar Deal পরিবার সবসময় ক্রেতা-বিক্রেতার সুস্থ সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করি। আপনারা পাশে থাকুন। ভালোবাসা এবং সততার জয় হোক।
"আপনি কি কখনো অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারিত হয়েছেন? কমেন্টে জানিয়ে দিন আপনার অভিজ্ঞতা!"